বালিতে অমানবিক ঘটনা, পুকুরের জলে বিষ দেওয়ার অভিযোগ। মারা গেলো ১৬টি হাঁস। স্থানীয় খামার পাড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বালির খামার পাড়ায় বছর পঞ্চাশের প্রণব ঘোষের ছোটবেলা থেকেই শখ বাড়িতে হাঁস মুরগি প্রতিপালন করার।
সেখানেই বেশ কিছু হাঁস এবং রাজহাঁস তার কাছে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপালিত হচ্ছে। বাসস্থান লাগোয়া তাদের পারিবারিক পুকুরে সেগুলি প্রতিদিন চরে বেড়ায়। শনিবার দুপুরের পর প্রণববাবু লক্ষ্য করেন জলের মধ্যে হাঁসগুলো কেমন ছটপট করতে করতে নেতিয়ে পড়ছে এবং ডুবে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি হাঁস ছটফট করতে করতে ডাঙায় উঠে এলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়। প্রিয় শাবকদের এই অবস্থা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান প্রণববাবু। তিনি তৎক্ষণাৎ পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েকটিকে বাঁচাতে পারলেও প্রায় ১৬টির মত হাঁস এবং রাজহাঁসের মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন যে ওই এলাকারই কেউ বা কারা কোনও কারণে পুকুরের জলে বিষ দিয়েছিল এবং তারই ফলে এতগুলো হাঁস মারা গেছে। এরপর তিনি রবিবার বালি থানায় অভিযোগ জানান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, আমিই হাঁসেদের দেখাশোনা করি। সকালবেলায় একবার দেখে গিয়েছিলাম। দুপুর ১২টা নাগাদ এসে দেখি সব হাঁস ছটপট করছে, মারা গিয়েছে। পুকুরে মাছ মারার তেল দেওয়ায় এই ঘটনা। মনে হয় ওষুধ বেশি দেওয়ার কারণেই এমন ঘটনা। ছোট হাঁস ১৫টা এবং বড় হাঁস ১টা মারা গিয়েছে। যে করেছে তার শাস্তি চাইছি।
হাঁসের মালিক প্রণব ঘোষ বলেন, পাশের পুকুরে হাঁসগুলো চরে বেড়ায়। কেউ ওই পুকুরে বিষ দিয়ে দিয়েছে। এমনই পরিমাণে বিষ দিয়েছিল যে হাঁসগুলো জলে নামার ৫ মিনিটের মধ্যে ছটপট করতে করতে মারা যাচ্ছে। অনুমান স্থানীয় একজন এই পুকুরে বিষ দিয়েছে। এই পুকুরের জল স্থানীয় মানুষজন ব্যবহার করেন। এই পুকুরে এত শক্তিশালী বিষ দেবে তা বোঝা যায়নি। ২৪টা হাঁসের মধ্যে ১৫টাই মারা গিয়েছে। বাকিগুলো ধুঁকছে। যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।
বালির পি কে গাঙ্গুলি রোড ও খামার পাড়ার মানুষ এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন। যিনি এই হাঁসগুলোর প্রতিপালন করেন হাঁসগুলোর মৃত্যুতে তাঁরও এখন সর্বস্বান্ত অবস্থা। এই পুকুরের জল ব্যবহার করেন এলাকার বাসিন্দারাও।
তাঁরাও দোষীর শাস্তি দাবি করছেন। স্থানীয় পি কে গাঙ্গুলী রোডের একটি পুকুরের জলপান করে এখনও পর্যন্ত ২টি রাজহাঁস সহ মোট ১৬টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post