২০১৮-র পুনরাবৃত্তি কি হতে চলেছে কর্ণাটকে? এখনও পর্যন্ত যে কটি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সামনে এসেছে, তা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলের সঙ্গে যদি শনিবার ইভিএম-এর ফলাফল মিলে যায়, তাহলে দুটি জিনিস নিশ্চিত ভাবে এখনই বলে ফেলা যায়।প্রথমত, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটক থেকেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ফিরে পেতে পারে কংগ্রেস। দ্বিতীয়ত, ২০১৮-র মতো এবারেও কর্ণাটকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তুরুপের তাস থাকবে দেবগৌড়া-কুমারস্বামীর দল জেডিএস-এর হাতেই।ধর্মের তাস খেলেও কর্নাটকে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না বিজেপি। শুধু তাই নয়, গত বারের মতো একক বৃহত্তম দলের মর্যাদাও পাচ্ছে না। বুধবার ভোট শেষ হওয়ার পরে বুথ ফেরত সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও ২০১৮ সালের মতো এবারেও বিধানসভার ভাগ্য ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।এ দিন কর্ণাটকে ভোট পর্ব মেটার পর একাধিক সমীক্ষক সংস্থা বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেই সমীক্ষাগুলির বিশ্লষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপি-র তুলনায় সামান্য হলেও এগিয়ে কংগ্রেস। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। তবে কংগ্রেস-বিজেপি-র আসন প্রাপ্তি নিয়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন ফল থাকলেও প্রায় প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলেই স্পষ্ট, শেষ পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভায় ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকার গঠনের তাস থাকবে জেডিএস-এর হাতে।২০১৮ সালেও কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল বিজেপি। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার ছঁুতে পারেনি তারা। বিজেপি-র আসনসংখ্যা ছিল ১০৪। সেখানে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও জেডিএস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। পরে অবশ্য শাসক জোটে ফাটল ধরিয়ে কর্ণাটকের কুমারস্বামী সরকারের পতন ধরিয়েছিল বিজেপি।এদিন ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটকে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। ফলে ভোটদানের হার আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি না ঘটায় যথেষ্টই স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।ভোটগ্রহণের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেই একাধিক টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। ‘রিপাবলিক টিভি ও মার্ক’ এর যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী, কর্নাটকে ২২৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৯৪ থেকে ১০৮টি আসন।বিজেপি পেতে পারে ৮৫ থেকে ১০০টি আসন। জেডিএস ২৪ থেকে ৩২ এবং অন্যান্যরা ২ থেকে ৪টি আসন পেতে পারে।’টিভি৯ ভারতবর্ষ ও পোল স্টার্ট’ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, কংগ্রেস পাবে ৯৯ থেকে ১০৯টি আসন। বিজেপি ৮৮ থেকে ৯৮টি আসন, জেডিএস ২১ থেকে ২৬ আসন এবং অন্যান্যরা ০ থেকে চার আসন। ‘জি নিউজ-মার্তিজ’ এর সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস পেতে পারে ১০৩ থেকে ১১৮টি আসন। বিজেপি থমকে দাঁড়াবে ৭৯ থেকে ৯৪ আসনে। জেডিএস পাবে ২৫ থেকে ৩৩ আসন এবং অন্যান্যরা ২ থেকে ৫ আসন। ‘সুবর্ণ নিউজ-জন কী বাত’ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পাবে ৯৪ থেকে ১১৭ আসন, কংগ্রেস পাবে ৯১ থেকে ১০৬টি আসন। জেডিএসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৪ থেকে ৩২ আসন।’এবিপি নিউজ-সি ভোটার’ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ১০০ থেকে ১১২ টি আসন পাবে কংগ্রেস। জেডিএস পাবে ২১ থেকে ২৯ আসন। আর বিজেপি পাবে ৮৩ থেকে ৯৫টি আসন।
MSME Increased Bengal Employment: বাংলায় বাড়ছে উদ্যোগ-পতির সংখ্যা, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে বাঙালি, বাংলায় এমএসএমই ছাড়ালো এক কোটির গণ্ডি
সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন। বাঙালি নাকি ব্যবসা বিমুখ। এমন একটা বদনাম দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙ্গালীদের নিয়ে রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে।যদিও...
Read more
Discussion about this post