সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই কর্নাটকে সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ গেলেন মুসলিমরা। কর্নাটকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণে এতদিন অন্তর্ভু্ক্ত ছিলেন রাজ্যের মুসলিম নাগরিকরাও। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্গত মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ তুলে নেওয়া হয়েছে সেখানে, যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রদবদলের পর ভোক্কালিগাদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।
পঞ্চমশালী, বীরশৈব এবং লিঙ্গায়তদের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে সংরক্ষণের হার বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ভোক্কালিগারা বরাবরই কংগ্রেস সমর্থক। তাঁদের নিজেদের দলে টানার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যে সক্রিয় বিজেপি। ভোক্কালিগাদের নিয়ে রাজনীতি বহুদিনের।
বর্তমান কর্ণাটক বিধানসভার মেয়াদ ২৪ মে শেষ হচ্ছে। এর মধ্যেই এবারের কর্ণাটক নির্বাচন বিজেপির কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্নাটক নির্বাচন দলের কাছে এক বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের কাছে পাঁচটি জেলায় ৩১টি বিধানসভা আসননে ‘হিন্দুত্ব ফ্যাক্টর’ নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কর্ণাটকে (Karnataka) ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যে জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল। কর্ণাটকে যখন ভোট নিয়ে জোর প্রচার চলছে,সেই সময় আলটপকা মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা।
শিবমোগার একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা বলেন, ‘আমরা একটাও মুসলিম ভোট চাই না।’
ঈশ্বরাপ্পা যখনই ওই মন্তব্য করেন, তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
বিজেপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে পাঁচটি জেলায় ৩১ টি আসনের মধ্যে ১৯ টি আসন জিতেছিল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই সংখ্যা নেমে আসে ৫-এ। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির প্রসঙ্গকে টেনে এনে নির্বাচনের ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির।
পাশাপাশি গোহত্যা নিষিদ্ধ হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে প্রভাবিত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে “লাভ জিহাদ”ধর্মান্তরকরণ এবং আন্তঃধর্মীয় বিবাহে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
কর্ণাটক প্রোটেকশন অফ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট, ২০২২ বিরোধী দল এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির প্রতিবাদ সত্ত্বেও গত বছর পাস হয়। এই আইন কট্টোর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দুটি প্রধান দাবিকে তুলে ধরে। এক,ধর্মান্তরকরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপ এবং দুই, আন্তঃধর্মীয় বিবাহ নিয়ন্ত্রণ।
ক্ষমতাসীন বিজেপি থেকে কংগ্রেস এবং জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এবার কর্ণাটকে নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। হিজাব থেকে টিপু সুলতান এবং দুর্নীতি, এমন অনেক ইস্যু রয়েছে যা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে আসন্ন নির্বাচনে।
Discussion about this post