কলকাতা

কলকাতা সারাদিন প্রতিবেদন। আলিপুরদুয়ার। বিমল গুরুং বিজেপির থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করার পরেই বদলে যেতে শুরু করেছে দার্জিলিং শহর উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক রাজনৈতিক মেরুকরণ। যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে একাধিপত্য দেখিয়ে তৃণমূলকে একটিও আসনের জিততে না দিয়ে নজির তৈরি করেছিল বিজেপি, সেই উত্তরবঙ্গে এবারে গো ব্যাক ধ্বনি শুনতে হলো রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
আজ আলিপুরদুয়ারে জয়গাঁয় দলীয় কর্মসূচিতে বিশাল বাহিনী নিয়ে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে দিলীপ ঘোষ এবং তার বিশাল কনভয় এলাকায় ঢোকামাত্র রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে কয়েকশো গোর্খা মহিলা বাহিনী। ঝাঁটা এবং জুতো নিয়ে দিলীপ ঘোষের গলায় পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন গোর্খা মহিলারা। সেই সঙ্গে দার্জিলিং সহ উত্তর বঙ্গের মানুষের কাছে বছরের পর বছর ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে বিজেপিকে এলাকা থেকে উৎখাত করার ডাক দেন তারা। এই ঘটনা চলাকালীন দিলীপ ঘোষের সঙ্গী-সাথীরা পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং গোর্খা প্রতিবাদীদের দিকে বন্দুক তাক করতেই শুরু হয়ে যায় ইটপাটকেল ছোঁড়া।
যদিও গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপের দাবি, ‘‌অনেকে প্রশ্ন করছেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা চালু হবে কিনা!‌‌ আমার মনে হয়ে এভাবে হিংসা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ইচ্ছে করেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করতে চাইছে তৃণমূল। রাস্তায় বেরনো যাবে না, রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না— এটা তো কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। এটা কল্পনাও করা যায় না। এর আগেও আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আবার হল।’‌