মর্মান্তিক, বীভত্স, এই শব্দগুলিও হয়তো কম পড়ছে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিতে। ওড়িশার বাহানাগা স্টেশনের ঠিক আগেই উল্টে পড়ে রয়েছে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি।
দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২০টিরও বেশি কামরা।
আজ, শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি।
ঘটনাস্থল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণের (Ex-gratia) ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার পরই শোক প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণবকে পাশে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করমণ্ডলের অধিকাংশ যাত্রীই পশ্চিমবঙ্গের ছিলেন। এটা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্ঘটনা। ভাল করে তদন্ত করতে হবে। কিছু একটা তো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “করমণ্ডল সেরা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির মধ্যে অন্যতম। আমি নিজে তিনবার রেলমন্ত্রী হয়েছি। এটা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা রেলওয়ের সেফটি কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারাই তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। আমি যতদূর জানি, এই ট্রেনে অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম ছিল না। যদি ওই ডিভাইস থাকত, তবে হয়তো এত বড় সংঘর্ষ হত না। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের তো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাজ উদ্ধারকাজ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা।”
ঘটনাস্থল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফেও নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
Discussion about this post