বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলির মধ্যে একটি ইনস্টাগ্রাম।
2.35 বিলিয়নের বেশি ইউজার রয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। যত দিন যাচ্ছে ততই ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিচিতি বাড়িয়ে তুলতে চাইছেন।
শুধু পরিচিতি নয়, এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে মোটা টাকা আয়ের সুযোগ।
বহু উঠতি ইনফ্লুয়েন্সার আছেন যারা নিত্য নতুন মজাদার ভিডিও, ছবি বা রিলসের মাধ্যমে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু তাদের সেই কনটেন্ট একটি বিপুল স্তর অবধি পৌঁছয় না।
সেই কারণে ছোট ছোট কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রামের সিইও অ্যাডাম মোসেরি।
নিশ্চই খেয়াল করেছেন প্রতিদিন কত কত ছবি এবং রিলস শেয়ার হয়। আপনিও হয়ত করে থাকেন। কিন্তু সেগুলি ঠিক মতো র্যাঙ্ক না হওয়ার ফলে বাকি মানুষদের চোখে পড়ে না।
ইনস্টাগ্রাম তাদের ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, র্যাঙ্কিং যে কোনো একটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে না।
একাধিক অ্যালগরিদম রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে তাদের পোস্ট অন্যান্য ইউজারের কাছে দেখানো হয়। আর এই অ্যালগরিদম রিলস, স্টোরি, এক্সপ্লোর এবং সার্চের জন্য আলাদা হয়।
অ্যাডাম মোসেরির কথায়, ইনস্টাগ্রামে কোনো একক অ্যালগরিদম নেই। যে ইউজার অ্যাপে কী করছে তার ভিত্তিতে পোস্ট নির্বাচন করা হয়। আমরা বিভিন্ন ধরণের অ্যালগরিদম, ক্লাসিফায়ার এবং প্রসেস মেনে চলি।
ইনস্টাগ্রাম ফিড ও স্টোরি
ইন্সটা ফিডের ক্ষেত্রে, যে র্যাঙ্কিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয় তা ইউজারের কার্যকলাপ, পোস্ট সম্পর্কে তথ্য এবং যে ব্যক্তি এটি আপলোড করছে তার মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়।
অপরদিকে স্টোরির ক্ষেত্রে এনগেজমেন্ট (লাইক কমেন্ট, ফলো), সদ্য ফলো করা অ্যাকাউন্ট, পোস্টদাতার সঙ্গে ইউজারের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সেগুলি ফিডে পাঠানো হয়।
ইনস্টাগ্রাম রিলস
রিলস র্যাঙ্ক করা হয় ইউজার অ্যাক্টিভিটি (সে সম্প্রতি কী কী ছবি, রিলস লাইক, কমেন্ট করেছে বা দেখেছে)
রিলসে কী কী তথ্য রয়েছে এবং যিনি পোস্ট করছেন তার সম্পর্কে কী কী তথ্য দেখানো হয়েছে।
এই কাজগুলি করলে রিলস র্যাঙ্ক করবে
ইনস্টাগ্রামের মতে উক্ত ভিডিও যদি কম রেজোলিউশনের হয়, ওয়াটারমার্ক থাকে, বর্ডার দেওয়া থাকে, ভিডিওতে টেক্সট থাকে, এর আগে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়ে থাকে তাহলে সেইরকম ভিডিও একটি বড় অংশের দর্শকের কাছে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
Discussion about this post