ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। জানা গেছে , এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে প্রাণ হারিয়েছে ১০০জন এবং আহত হয়েছে ১৭৯ জন। আহতদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। জানা গিয়েছে , এই ঘটনার জেরে বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা ।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর জেনে মর্মাহত। এতে বাংলার অনেক যাত্রী ছিলেন। একটি মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে ট্রেনটির। অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা ওডিশা সরকার ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ রেখে চলেছি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার। যার নম্বর 033- 22143526/ 22535185। উদ্ধারকাজ ও আহতদের দ্রুত চিকিত্সার বন্দোবস্তের কাজ যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে। রাজ্য থেকে ৫-৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্য থেকে যাঁরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তাঁরা ওডিশা সরকারের সঙ্গে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন। রেল কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন রাজ্য থেকে প্রেরিত দল। মুখ্য সচিব ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা গিয়েছে, বাহানাগাবাজার স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল বিকেল ৩টে ২০ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। ওই স্টেশনেই ১২৮৬৪ ডাউন এসএমভিবি হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটির কয়েকটি বগি পাশের লাইনে লাইনচ্যুত হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভালো গতিতেই যাচ্ছিল। পাশের লাইনে যে বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়েছিল তাতেও ধাক্কা লেগেছে করমণ্ডলের। সেটি আবার মালগাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারতেই বগিগুলি দেশলাইয়ের বাক্সের মতো উল্টে যায়। এই দুর্ঘটনায় অনেক ট্রেন বাতিল। কিছু ট্রেন অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।বালেশ্বর হাসপাতালের পাশাপাশি সোরো ও গোপালপুরের কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও খান্তাপাডা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে দুর্ঘটনাস্থলে প্রচুর বাস পাঠানো হয়েছে।বাংলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মানস ভুঁইয়া, দোলা সেনরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধারকাজে সামিল হচ্ছে এনডিআরএফ। করমণ্ডলের গতিবেগ কম থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। গ্যাস কাটার দিয়ে বগি কেটে দেহ বের করা হচ্ছে।ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই আর্থিক সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
Discussion about this post