বরফের চাদরে ঢাকলো সিকিম। সিকিমের একাধিক উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্পটে বন্ধ পর্যটক প্রবেশ।
নাথুলা, বাবা মন্দির সহ একাধিক পর্যটক স্থান বরফের নিচে। সেখানে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে ছাঙ্গু লেক, নাথুলা, বাবা মন্দির এলাকায় বরফে আবৃত হওয়ায় সম্পূর্ণ রূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সিকিমে বরফের সাধ মিললেও বর্তমানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাশ করছে। কারন ট্যুর প্ল্যানে থাকা নাথুলা থেকে ছাঙ্গু সবটাই বাদ পড়ছে।
একইসঙ্গে জি২০ প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন ঘিরে সিকিমের রাজধানীর শহর গ্যাংটকের এমজি মার্গ, সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে গুচ্ছের নির্দেশিকা জারি রয়েছে।
ফলে এক প্রকার হোটেল বন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের।অনেকে পর্যটকেরাই বিপদ বুঝে সিকিম থেকে নেমে আসছেন দার্জিলিং। টানা তুষারাপাতের জেরে সিকিমের পশ্চিমে ছাঙ্গু প্রান্তে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে সেনা।
বুধবার রাতে সেনা জরুরী ভিত্তিতে হাজার জন পর্যটকদের সিকিমের পর্যটক প্রিয় তাসমঙ্গলেক, নাথুলার মতো উঁচু জায়গা গুলি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ সেনা ছাউনিতে নিয়ে আসা হয়।
সেনার তরফে জানা গিয়েছে পশ্চিম সিকিম থেকে সিকিম শহরের সঙ্গে যোগাযোগকারী জহরলাল নেহেরু রোড তু ষারা পাতের জেরে আবৃত হয়ে থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
২০০বেশি পর্যটক গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিমের অধিকাংশ স্থল শ্বেতশুভ্র বরফে মুড়ে রয়েছে। এদিকে ভারত মরশুম বিজ্ঞান বিভাগের গ্যাংটক হাওয়া মহলের তরফে জানানো হয়েছে আগামী বেশ কয়েক ঘন্টা সিকিমের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে তুষারপাত ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্যাংটক,পেয়ং, নামচিতে তুষারপাত ও বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আবহাওয়ায় দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গ্যাংটকে ০১.২ মিলিমিটার ও সিকিমের তাডংয়ের অংশে গর ১২ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ০০০.৫এমএম। এছাড়া উত্তরববঙ্গের দুপুরের পর থেকেই দার্জিলিং ও কালিমপঙে বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে।
হাওয়া মহলের রিপোর্ট অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ০.৪এমএম। টানা ১৫মিনিট ভারী বর্ষণ হয় কালিম্পঙ-এ। দার্জিলিংয়ের উপরিভাগ সিকিম সীমান্তবর্তী এলাকার একাধিক স্থানে বৃষ্টিপাত হয়।
দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, মানভঞ্জন,ফালুট একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। হাওয়া মহলের রিপোর্ট অনুযায় এদিন কালিম্পঙয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Discussion about this post