Tata Punch EV Update: ইলেকট্রিক ভেহিকল ধীরে ধীরে দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। একাধিক সংস্থা তাদের বৈদ্যুতিক যান বাজারে নামাচ্ছে। তবে, তাদের মধ্যে যে প্রথম নামটা Tata Motors-এর থাকবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি তাদের একাধিক ICE ভেহিকলের EV ভার্সন নিয়ে হাজির হয়েছে। পাইপলাইনে রয়েছে একাধিক আরও মডেল, যার মধ্যে অন্যতম হল Tata Punch EV। টাটার এই মাইক্রো এসইউভি-র পেট্রল ভার্সনটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার ইলেকট্রিক ভার্সনটিও সেরকমই সাফল্য পাবে বলে সংস্থার বিশ্বাস। দেশের রাস্তায় একাধিক বার চলতে দেখা গিয়েছে Tata Punch EVটিকে। অটোমোবাইল ওয়েবসাইট RUSHLANE এই ইলেকট্রিক ভেহিকলের স্টাইলিং, ফিচার্স ও রেঞ্জ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই সবকিছুই একবার দেখে নেওয়া যাক।
স্টাইলিং ও ফিচার্স
টাটা পাঞ্চের ইলেকট্রিক ভ্যারিয়েন্টের বাইরের দিকটি অনেকটাই তার ICE কাউন্টারপার্টের মতো। এর আগের একটি ফাঁস হওয়া স্পাই শটের ভিত্তিতে প্রত্যুষ রাউত নামের এক ব্যক্তি গাড়িটির ডিজিটাল রেন্ডার প্রকাশ করেছিলেন। পেট্রল পাওয়ার্ড মডেলের মতো একই ফ্রন্ট ফ্যাসিয়া থাকছে। গাড়িটির পিছনের দিকে থাকছে একটি চার্জিং পোর্ট। Nexon EV এবং Tiago EV-তেও এই একই জায়গায় দেওয়া হয়েছিল চার্জিং পোর্টটি।
Punch EV-র ফ্রন্ট গ্রিলে অনন্য ব্যাজিং দেওয়া হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে গাড়িটির ইলেকট্রিক হার্ট সম্পর্কে। তবে, আইসিই ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ইলেকট্রিক মডেলে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিকতম একটি টেস্ট মুলে গাড়িটির রিয়ার ডিস্ক ব্রেক দেখা গিয়েছে। পেট্রল পাওয়ার্ড মডেলটিতে ডিস্ক ব্রেক রয়েছে সামনে এবং ড্রাম ব্রেক রয়েছে পিছনে।
ফিচার্সের দিক থেকে গাড়িটির অন্দরমহল ICE ভার্সনের Tata Punch-এর মতোই। থাকছে একটি ভাসমান 7 ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, 7 ইঞ্চির TFT ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, প্রিমিয়াম আপহলস্ট্রি, ফ্ল্যাট বটম স্টিয়ারিং হুইল, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো ও অ্যাপল কারপ্লে।
ওই টেস্ট মুলেই দেখা গিয়েছিল, গাড়িটির একটি রোটারি ডায়াল। এর অর্থ হল, Tata Punch EV একটি ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক পেতে চলেছে। এই একই ফিচার ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে Nexon EV Max-এ। অটোমেটিক্যালি বাই ডিফল্ট কাজ করে এবং ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করা যেতে পারে এটিকে।
Tata Punch EV: রেঞ্জ
RUSHLANE তাদের রিপোর্টে দাবি করছে, Tata Punch EV-র রেঞ্জ হতে চলেছে 300 কিলোমিটারের কাছাকাছি। তবে গাড়িটির একটি কম দামি ভ্যারিয়েন্টও নিয়ে আসতে পারে টাটা, যাতে একটু ছোট ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হতে পারে। Tiago-র ব্যাটারি প্যাক এবং ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন দেওয়া হতে পারে সেই ভার্সনে। প্রসঙ্গত, Tiago EV-র দুটি রেঞ্জ মডেল রয়েছে, যার একটি 250 Km এবং অপরটি 315 Km। গাড়িটির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে সদ্য লঞ্চ হওয়া MG Comet EV, যার রেঞ্জ এক চার্জে 230 কিলোমিটার এবং Citroen eC3, যা এক চার্জে 320 কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারে।
Discussion about this post