শিল্পের জন্য জমি-জট কাটাতে নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ডানকুনি থেকে হলদিয়া, ডানকুনি থেকে রঘুনাথপুর ও ডানকুনি থেকে কল্যাণী এই জায়গাগুলিতে কোথায় কোথায় করিডোর আছে তা চিহ্নিত করতে হবে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বৈঠকে বলার আগে বেশ কিছু তথ্য দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি জানান, রাজ্যে শিল্পায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি জানান, লিজ হোল্ড টু ফ্রি হোল্ড ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এতে শিল্পপতিরা সহজেই জমি নিতে পারবে। সেজন্য শিল্পপতিদের বেশি পরিশ্রমও করতে পারবে না। এছাড়াও একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর করা হচ্ছে। তাজপুরে পোর্ট হবে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ, মালদাতেও করিডোর হবে বলে ঘোষণা করেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও জানান, যে জমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে যেন বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়। যাতে সাধারণ মানুষ শিল্পায়নের গুরুত্ব বুঝতে পারে। তাঁর কথায়, ‘বড় বড় হোর্ডিং লাগালে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে কোথায় জমি আছে। এই কাজটা সিরিয়াসলি করতে হবে। শশী পাঁজাকে এই নিয়ে দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই কাজটা মনিটরিং করতে হবে। এই কাজটা মহিলারা করুক। আমি তাদের কাজ দেখতে চাই।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর। গতবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের হাত ধরে রাজ্যে ৪০ লাখের বেশি নয়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে, দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, চলতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ‘রেকর্ড’ ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে শিল্প ক্লাস্টার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠেছে। সেখানে অনেকে চাকরি পাচ্ছেন।
Discussion about this post