সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
ভারতীয় সংসদে ফিরলো 2001 সালের ১৩ ডিসেম্বরের অভিশপ্ত জঙ্গি হামলার স্মৃতি।
2001 সালের 13 ডিসেম্বর হামলা হয়েছিল সংসদে । সেই ঘটনার 22 বছর পূর্তি হল আজ, বুধবার । আর সেই দিনই ওই হামলার আতঙ্ক আবার ফিরে এল সংসদে । এবার হামলার চেষ্টা হল একেবারে সংসদের অন্দরে । লোকসভার গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপ দেন একজন ।
আর গ্যালারি থেকে হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়ানো হচ্ছিল । কিছুক্ষণের মধ্যে লোকসভার অন্দরে রঙিন গ্যাসে ভরে যায় । দুপুর একটা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে । তখন অধিবেশন চলছিল । সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেক সাংসদ । যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় নিজের বক্তব্য পেশ করছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু ।
গ্যালারি থেকে লোকসভার অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপ দেওয়ার পর এক যুবক
হঠাত্ই চিত্কার চেঁচামেচি শুরু হয় । দেখা যায়, এক ব্যক্তি সংসদদের বসার জায়গা থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন । সঙ্গে সঙ্গে অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয় । পরে জানা যায় যে হিন্দিতে স্লোগানও দেওয়া হচ্ছিল । বলা হচ্ছিল - তানাশাহী নেহি চলেগি (একনায়কতন্ত্র চলবে না) ।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "এক ব্যক্তিকে লোকসভার বেঞ্চের উপর লাফিয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে যখন জিরো আওয়ার চলছে, তখন অন্য একজনকে পাবলিক গ্যালারি থেকে কিছু টিয়ার গ্যাস ছিটাতে দেখা গিয়েছে ।"
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, "দুই যুবক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং তারা এমন কিছু ছুঁড়ে মারে যা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। তারা সাংসদদের হাতে ধরা পড়েছিল, নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বের করে আনে। অধিবেশন দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। এটি অবশ্যই একটি নিরাপত্তা লঙ্ঘন, কারণ আজ আমরা ২০০১ সালে (সংসদ হামলা) জীবন উত্সর্গকারীদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি।“
নতুন সংসদ ভবনের সুরক্ষা বলয় অত্যন্ত কড়া এবং অত্যাধুনিক বলে দাবি করা হয়। পকেটের পেন-খুচরো পয়সা পর্যন্ত নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়না। তাহলে কীভাবে স্প্রে বোতল িনয়ে তাঁরা সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভিজিটর গ্যালারি থেকে হঠাত্ই ঝাঁপ দিয়ে হলুদ স্প্রে করতে থাকে তারা। আতঙ্কে হুড়ো হুড়ি পড়ে যায় সেসময়।
সাংসদের অনুমতি ছাড়া কেউ ঢুকতে পারেন না সংসদ ভবনের চত্ত্বরে। সেখানে হলুদ রঙের স্প্রে নিয়ে কীভাবে অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক ঢুকে পড়ল সংসদ ভবনে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাংসদরা হুড়ো হুড়ি করে ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। যেকোনও বড় ধরনের দুর্ঘটনা সেখানে ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।