Tag: #SupremeCourt

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।

সমকামী বিবাহ মামলায় কেন্দ্রের পাশেই দাঁড়াল বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। রবিবার, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব পাস করল বার কাউন্সিল।

বার কাউন্সিলের মতে, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং বহু সামাজিকর ও ধর্মীয় পরিমণ্ডলের ব্যক্তিরা এই ইস্যুর সঙ্গে যুক্ত।তাই এই বিষয়ে আইনি সংস্কার নিয়ে আইনসভায় বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার, বেঞ্চ পরোক্ষে মেনে নিয়েছে যে, সমলিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে টেকসই বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি, সমকামী দম্পতিরা তাদের সন্তানদের সঠিক যত্ন নিতে পারে না, কেন্দ্রের এই দাবিও উড়িয়ে দিয়েছে আদালত।

বার কাউন্সিল প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “যৌথ সভা সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছে যে, সমকামী বিবাহের ইস্যুটির সংবেদনশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে এবং যেহেতু এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় পটভূমির অংশীদাররা জড়িত, তাই একটি উপযুক্ত আইনসভায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে জড়িত করে একটি বিস্তৃত আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার মোকাবিলা করা হোক।

এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে শীর্ষ আদালতের যে কোনও সিদ্ধান্তই আমাদের দেশের ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ইস্যুটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এটি নির্বাচিত কয়েকজনের পরিচালিত সামাজিক পরীক্ষা বলে বিভিন্ন সামাজিক-ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে এবং সমালোচনা করা হয়েছে।”

সামাজিক ও নৈতিকভাবে সমকামী বিবাহের আইন স্বীকৃতির আবেদনের সমালোচনার পাশাপাশি এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বার কাউন্সিলের এই প্রস্তাবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধান আইন প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছে আইনসভাকেই। আইনসভায় যে আইনগুলি পাস হয়, সেগুলি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিকভাবে স্বীকৃতি পায়।

ফলে, আইনসভার সিদ্ধান্তে সমাজের সমস্ত স্তরের মতামত প্রতিফলিত হয়।

একই সঙ্গে আইনসভা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও বটে। এই অবস্থায় সমকামী বিবাহের বিষয়টি বিস্তৃত আলোচনার জন্য আইনসভার হাতেই ছেড়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করল বার কাউন্সিল।