বিতস্তা সেন। কলকাতা সারাদিন।
রাজভবনের মধ্যেই রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির পরে পাঁচ তারা হোটেলে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে। কলকাতা পুলিসের তরফে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এক ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। খবর সূত্রের। নবান্ন সূত্রে খবর, এক নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
ঘটনা ২০২৩ সালের। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, গত জুন মাসে অনুষ্ঠানের কথা বলে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছিল। আর সেখানেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন ওই নৃত্যশিল্পী।
পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি তিনি নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। নৃত্যশিল্পীর আবেদনের ভিত্তিতেই নবান্নের তরফে কলকাতা পুলিশকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তাঁর অভিযোগ, গত বছর ৫ ও ৬ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান রাজ্যপাল। তাঁকে একটি পাঁচতারা হোটেল রাখার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যপালের বেঙ্গালুরুর এক আত্মীয় হোটেলের রুম বুক করেন। সেই হোটেলেই ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ওই নৃত্যশিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান চালাচ্ছিল ডিসি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিসের একটি টিম। সেই ধর্ষণ মামলার অনুসন্ধানের রিপোর্ট-ই এবার জমা পড়েছে নবান্নে। শ্লীলতাহানি ইস্যুর মধ্যেই এই ঘটনা যে রাজ্যপালের আরও অস্বস্তি বাড়াল তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, ২ মে, ঘটনার দিন রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী। কলকাতা পুলিসের হাতে এসেছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজটি বিকেল ৫.১৫ মিনিটের। যেখানে তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যাচ্ছে।
এরপর সেখান থেকে ওই তরুণী স্পেশাল সেক্রেটারির চেম্বারে যান। সেখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তাঁকে কাঁদতে-কাঁপতে দেখে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। সেখানে ১০ মিনিট ছিলেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী ওসি রাজভবনের ঘরের দিকে যান।