কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
একুশের বিধানসভার নির্বাচনে বাংলার রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম।
এবারেও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই নন্দীগ্রাম যে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেখানকার বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
এবার নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে একের পর ১ এ ২০ পরক ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে চমকে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের মঞ্চ থেকে একুশের ফলাফল ইতিহাসও উস্কে দিলেন তিনি।
একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে দেখা যায় জিতেছে শুভেন্দুই। যদিও ভোটগণনায় তখনই কারচুপির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। আদালতে মামলাও চলছে এ নিয়ে। বুধবার নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে ফের সেই কথা তুললেন অভিষেক।
বললেন, ''২০২১ সালে বলেছিলাম খেলা হবে। কিন্তু নন্দীগ্রামে কারচুপি করে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়েছিল। সেই খেলায় এখনও বাজি আছে। ২৫মে শেষ হবে। সবাই দেখিয়ে দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গেছেন। চার ইভিএমে কারচুপি করে জিতেছিল।''
শুভেন্দুর নাম না করে অভিষেকের আক্রমণ, ''এখানকার বিধায়ক ভিতু। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আবেদন করেছিল, অন্য হাইকোর্ট যাতে মামলা সরে যায়। সুপ্রিম কোর্ট চড় মেরে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট বিচার হবে। এর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।''
এরপরেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেন অভিষেক, ''৮০টা বুথে কারচুপি করার পরিকল্পনা আছে বিজেপির। ওদের লোক আমায় বলেছে। ভোট দিতে বাধা দিলে রুখে দাঁড়াবেন। এই ভোট নন্দীগ্রামের সম্মান রক্ষা করার ভোট।''
অভিষেকের আশ্বাস, ''নন্দীগ্রামে যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাদের তালিকা আমার কাছে আছে। ফল খুব খারাপ হবে। কোনও বাবা বাঁচাবে না।
কেউ ভয় পাবেন না। আমি আছি। দেবাংশুকে জেতান। আমি জুনে আবার আসব।''