সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। ডেস্টিনেশন কলকাতা। বাংলা জুড়ে পরিকাঠামো শিল্পে বিপুল উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলায় জুড়ে বাড়ছে বিনিয়োগের সংখ্যা।
গোটা দেশের মধ্যে গত কয়েক বছরে বাংলা যেভাবে শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে নিজের পরিচিতিকে তুলে ধরতে পেরেছে তার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও একে পর এক বিনিয়োগকারী বাংলায় বিনিয়োগ করার বিষয়ে উৎসাহ দেখাতে শুরু করেছেন।
এবারে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যজুড়ে বিলাসবহুল সরোবর হোটেল তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করল কলকাতার প্রথম সারির রিয়েল এস্টেট সংস্থা জৈন গ্রুপ।
প্রাথমিকভাবে কলকাতার রিয়েল এস্টেট সংস্থা জৈন গ্রুপ যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতার সহ বাংলা জুড়ে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল তৈরির জন্য তারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জৈন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রেয়াংশ জৈন বলেন চলতি বছরের দূর্গা পূজার আগেই কলকাতায় সরোবর হোটেলের এই নতুন প্রেমী শেষ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলেই আশা করছেন তাঁরা।
শ্রেয়াংশ বলেন, "আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ। চলতি বছরের জুলাই এর মধ্যেই ইন্টেরিয়র থেকে শুরু করে বাকি কাজগুলিও সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। হোটেল ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি রিয়েলে এস্টেট সেক্টরে ও আমরা বাংলায় আরো বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট করার বিষয় ভাবনা-চিন্তা করছে।"
কলকাতায় সম্প্রতি এই দুই সংস্থার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন সরোভার হোটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় কে বাকায়া এবং জৈন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রেয়ানস জৈন,
মউ স্বাক্ষরের পর সরোভার হোটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় কে বাকায়া জানান, "জৈন গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে হসপিটালিটি এবং রিয়েল স্টেট সেক্টরে আমরা আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছে। এই প্রজেক্টের ফলে কলকাতাতে আমাদের ব্র্যান্ডও ছড়িয়ে পড়বে।"
আগামী চার মাসের মধ্যেই রাজারহাটে সরোবর হোটেলের ব্র্যান্ডে যে বিলাসবহুল হোটেল চালু হতে চলেছে সেখানে এখনো পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে প্রায় 120 কোটি টাকা (Primary investment Rs 120 Crores in Rajarhat Kolkata)।
আগামী জুলাইতে উদ্বোধনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছেন সংস্থার আধিকারিকেরা। আপাতত নতুন এই হোটেলে ১২৮ রুম থাকবে চারটি ক্যাটেগরিতে। থাকবে বিলাস বহুল সুইট, প্রিমিয়াম, ডিলাক্স এবং স্ট্যান্ডার্ড রুম।
জানা গিয়েছে রাজারহাটের পরেই শিলিগুড়ি দুর্গাপুর এবং জোকাতে পরবর্তী তিনটে প্রজেক্টে বিলাসবহুল হোটেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এই দুই সংস্থার।